Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে
চার মাস ১৮ দিন পর এবার রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় মসজিদটির ১০টি দানবক্স এবং ৩টি ট্রাঙ্ক খোলার মধ্য দিয়ে টাকা গণনার কাজ শেষ করে এ টাকা পাওয়া গেছে।
পাগলা মসজিদ মাদরাসা ও আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার ছাত্র এবং রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট ৫০০ জন টাকা গণনার কাজ করছেন। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ছাড়াও মসজিদ-মাদরাসার ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সহায়তা করছেন।

এর আগে সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল এই মসজিদের দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। পরে টাকা গণনা করে সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া পাওয়া যায় বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা, রূপা ও হীরার গয়না।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর নেতৃত্বে দানবক্স খোলা হয়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারেছী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণসহ মসজিদ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদী তীরের ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে নয়টি লোহার দানবক্স আছে। প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর এই বাক্সগুলো খোলা হয়। প্রথমে টাকাগুলো লোহার সিন্দুক থেকে বস্তায় ভরা হয়। পরে মসজিদের দোতলায় নিয়ে মেঝেতে ঢালা হয়। এরপর শুরু হয় টাকা গণনার কাজ।

জানা যায়, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে এই মসজিদে দান করছেন। যারা দান করতে আসেন তারা বলে থাকেন, এখানে দান করার পরে নাকি তাদের মনের আশা পূরণ হয়েছে। আর এ কারণেই দিন দিন দানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, দানবাক্স থেকে পাওয়া সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। ব্যাংকে জমা রাখা টাকার লভ্যাংশ থেকে অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করা হয়ে থাকে। আজকে পর্যন্ত পাগলা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৯১ কোটি টাকা জমা রয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, সকাল থেকে টাকার বক্স খোলা, বস্তায় ভরে এনে গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সমস্ত টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ তার পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া গণনার দিন ছাড়াও বাকি দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন সিন্দুক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। বর্তমানে ৫.৫ একর ভূমির উপর সম্প্রসারিত পাগলা মসজিদ এলাকায় মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।