
মোঃ আলমগীর হোসেন,নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : নিকলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বর্ষা মৌসুমে শুরু হয় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে খাল, পুকুর,জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট কার্যক্রম। বিভিন্ন জায়গায় দেখা মেলে এ ধরনের বালু দানবের তান্ডব।
এলাকার সোয়াইজনী,গোড়াউত্রা ও নরসুন্দা সহ বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথেই বালু ব্যবসায়ী ও ড্রেজার মালিকরা প্রশাসনকে আতাত করে ভরাটে লিপ্ত, এমন গুন্জন সর্বমহলে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন নিষিদ্ধের আইন থাকলেও মানা হচ্ছে না তা। অমান্য করা হচ্ছে আদালতে নির্দেশনা।
যদিও এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাবি জরিমানাসহ নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন কোনো মতেই এর সাথে জড়িত নয় বলেও দাবী করেন। খবর পেলেই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অসংখ্য স্থানীয়দের ভাষ্য প্রতিবছরই একদল লোক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুকুর,জলাশয় অবৈধভাবে বালু ভরাট কাজে নেমে পড়ে
গত কয়েকদিন পূর্বে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন একাধিক পুরোনো পুকুরের অস্তিত্ব ছিল । কিন্তু পুরোনো এই পুকুরের অস্তিত্ব এখন আর নেই। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় বার বার পুকুর ভরাট চললেও নীরব থাকার বিষয়টা জনমনে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এ বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে গত 12 আগষ্ট উপজেলা সদরে বিএনপির দুপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে, যা জাতীয় বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এ পরযন্ত পৃথক পৃথকভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন সময় অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অর্থদন্ড করলেও , পরদিন থেকেই পুনারায় শুরু হয় বালু ভরাট মহাযজ্ঞ। শুধু উপজেলা সদরেই নয় চোখ মেললেই দেখা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের একই চিত্র।
অনুসন্ধানের ভিত্তিতে গত ২৮সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের কামালপুর গ্রাম সংলগ্ন বালু ভরাটের সময় ড্রেজার শ্রমিককে বালু ভরাটের বৈধতা জানতে চাইলে তিনি জানান ইউএনও স্যার একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে আসছিলো এবং তিনি বলেন আমাদের বালু ভরাট কার্যক্রম সঠিক আছে, তিনি আমাদের কোন বাধা দেন নাই। ড্রেজার মালিক মামুন মিয়ার সাথে এ প্রতিনিধি মুঠোফোনে কথা বললে তিনিও ড্রেজার শ্রমিকের মত একই কথা বলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানা মজুমদার মুক্তির সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, কিন্তু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার মতো কোনো আলামত পাইনি এবং ড্রেজার মালিকের তথ্য ভুল বলে পাশ কাটিয়ে যান