Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কটিয়াদীতে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি – Pratidin Sangbad

কটিয়াদীতে আউশের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

 মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,কটিয়াদী(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ কৃষি প্রধান জনপদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ফসলের মাঠে শুরু হয়েছে আউশ ধান কাটার উৎসব।সরকারি ভাবে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার কৃষকদের মাঝে বিতরণ,আউস ধান আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ সহ কৃষি অধিদপ্তর বিভিন্নভাবে মনিটরিং করায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আউশের ফলন দেখে কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি।

এবার ল¶্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোরো ধান কাটার পর ও রোপা আমন রোপণের মধ্যবর্তী সময় উপজেলার বেশির ভাগ জমি পতিত থাকতো। কৃষকরা আউশ মৌসুমে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করতেন।এ বছর উপজেলার রের্কড পরিমাণ ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। এ বছর ব্রি ধান-৪৮, ব্রি ধান-৮২ ও বিনা- ১৯ জাতের ধান হয়েছে। এ ধান রোপণের প্রায় ১১০ দিনে ফসল কাটার জন্য উপযোগী হয়ে উঠে। তাই এ জাতের আউশ ধানের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান আবাদে দিনে দিনে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন। চলিত মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা আগামীতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলার দঃ ঝাকালিয়া(টাইগার মোড়) গ্রামের কৃষক বাবুল মিয়া জানান, তিনি ৫২ শতাংশ জমিতে ব্রি-৪৮ জাতের আউশ ধানের চাষ করেছেন। এতে তাঁর খরচ হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। জমিতে ধান পেয়েছেন প্রায় ২৪ মণ। এখন প্রতি মণ ধান ১২০০শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে ভালো লাভের প্রত্যাশা করছেন। আউশ কাটার পর একই জমিতে রোপা আমন রোপণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান,আউশ ধান চাষে জমিতে পানি সেচ দিতে হয় না। তিনি ৩৫ শতাংশ জমিতে আউশের আবাদ করছেন। ইতোমধ্যে ধান কাটা শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঝাড়াই-মাড়াই’র কাজ চলছে।জমিতে পোকা-মাকর দমনে পার্চিং ব্যবস্থা করেছেন।

কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ সেবা পেয়েছেন। আশা করছেন ভালো দাম পেয়ে তারা লাভবান হবেন। চান্দপুর গ্রামের বর্গাচাষি আজাদ মিয়া বলেন,অন্য বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে ন্যায্যমূল্য পেলে ধানের ভর্তুকি দিতে হবে না। আশা করি সঠিক বাজারমূল্য পাব। সোনালি ধান পেয়ে আমি খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুকশেদুল হক জানান,এই উপজেলার কৃষকরা আউশ ধানের আবাদ করতেন না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও মাননীয় কৃষি মন্ত্রীর কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ও বীজ,সার দিয়ে চাষীদের উৎসাহিত ও সহযোগিতায় ও উৎপাদন খরচ কম ফলে আউশ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। এ বছর উপজেলায় রের্কড পরিমাণ জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে, ফলনও হয়েছে ।