Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
রমজান জুরে ১০টাকা লিটার দুধ বিক্রি করবেন এরশাদ উদ্দিন – Pratidin Sangbad

রমজান জুরে ১০টাকা লিটার দুধ বিক্রি করবেন এরশাদ উদ্দিন

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করছেন শিল্পপতি এরশাদ উদ্দিন।

করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর গ্রামে জেসি অ্যাগ্রো ফার্ম নামে তাঁর একটি গরুর খামার আছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তিনি। আজ শুক্রবার প্রথম রোজায় তিনি ৮০ জনের কাছে ১০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করেন।
রমজান মাসের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দুধ বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এরশাদ উদ্দিন। তাঁর এ উদ্যোগ এলাকায় প্রশংসা ছড়িয়েছে। বর্তমানে বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে দুধ বিক্রি হচ্ছে।

এরশাদের খামারে দুগ্ধ ও মোটাতাজাকরণ জাতের ৪০০ গরু আছে। এর মধ্যে গাভি আছে ৬৫টি। দুধ দেওয়া ২৫টি গাভি থেকে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ লিটার দুধ পাওয়া যায়। খামারে উৎপাদিত সব দুধ রমজান মাসজুড়েই গরিবদের জন্য ১০ টাকা দরে বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত বছরও রোজা উপলক্ষে ১০ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করেছিলেন তিনি। তিন বছর ধরে এভাবে বিক্রি করছেন।
জেসি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান এরশাদ উদ্দিন বলেন, আজ প্রথম রোজা থেকে ১০ টাকা দরে দুধ বিক্রি শুরু করেছেন। পুরো রমজান মাসে প্রায় ২ হাজার লিটার দুধ ১০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। তিনি বলেন, রমজান মাসে সবাই দুধ খেতে চান। বিশেষ করে সাহ্‌রির সময় এটা অনেকেরই পছন্দ। এ জন্য দুধের দাম বেড়ে যায়। তাই তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন, পুরো রমজান মাসে তাঁর খামারের উৎপাদিত দুধ ১০ টাকা দরে বিক্রি করবেন। যে কেউ সেই দুধ খামারে এসে কিনে নিতে পারবেন। প্রতিজন সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ কিনতে পারবেন।

এরশাদ উদ্দিনের দুধের খামার ছাড়াও শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় সেবামূলক কাজ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরজু মিয়া বলেন, রোজা এলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো, এটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে যেখানে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে দুধ বিক্রি হচ্ছে, সেখানে গরিব মানুষের কথা ভেবে রমজান মাসে তিনি ১০ টাকা লিটার দুধ বিক্রি করছেন। এ ছাড়া অনেকের বাড়িতেই তিনি তাঁর খামারের দুধ পৌঁছে দিচ্ছেন।