
নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলার ভৈরবের রসুলপুরে ডোবায় অজ্ঞাতনামা নারীর মামলায় ২৭ বছর আত্মগোপনের পর ছদ্মবেশী ওয়াহিদুল্লাহ্কে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামী জেলার ভৈরবের মৌটুপি ইউনিয়নের রসুলপুরে মৃত রূপ বাদশা ছেলে।
জানা যায় ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলার ভৈরবে মৌটুপি ইউনিয়নের রসুলপুরে ডোবায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি তখন এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ভৈরব থানার মামলা নং ১০(০৯)১৯৯৬ রুজু হয়। ওয়াহিদুল্লাহ্ ঢাকায় বাদাম বিক্রি করতেন। ওয়াহিদুল্লাহর কথিত বন্ধু নিজামের সাথে হত্যা শিকার করে অজ্ঞাতনামা মহিলাকে তিনি তার বাড়িতে এনেছিলেন বলে স্থানীয় লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। পরবর্তী এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৯ অক্টোবর ২০২২ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পলাতক ওয়াহিদুল্লাহ্কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০০০ টাকা অর্থদণ্ড, যা অনাদায়ে ১বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক হয়ে ওয়াহিদুল্লাহ্ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের নানা এলাকায় পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আল আমিন হোসাইন জানান,একটি বিশেষ টিম পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী ওয়াহিদুল্লাহকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করে গত কাল রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিন্নারবন্দ এলাকা হতে ধরতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে ওয়াহিদুল্লাহ্ তার প্রকৃত নাম অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদে ছদ্মবেশের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে ওয়ারেন্টসহ অদ্য ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।