Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জে বিপুল পরিমান নকল ঔষধসহ প্রতারক আটক – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জে বিপুল পরিমান নকল ঔষধসহ প্রতারক আটক

স্টাফ রিপোর্টার  : নকল ঔষধে সয়লাব কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে, সাথে জড়িত চিকিৎসক, কোম্পানির প্রতিনিধি, ব্যবসায়ি সহ অনেকেই। নকল ঔষধসহ প্রতারক চক্রের এক সদস্য আটকের পর ১৪৪ ধারায় কোর্টে প্রেরণ।
অনলাইনের মাধ্যমে নকল ওষুধ বিক্রির সঙ্গে জড়িত প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার ও বিপুল পরিমাণ নকল ঔষধ (ইনজেকশন) উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ শাহীন আলম (২৫)। এ সময় তার হেফাজত হতে নকল এক কার্টুন ইনসেপ্টা কোম্পানির হেপা-বি ইনজেকশন সহ আরও অনেক কোম্পানির নকল ঔষধ।
শুক্রবার ২৩ মে বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সংবাদের ভিত্তিতে আমরা নকল ঔষধ (ইনজেকশন)সহ প্রতারককে আটক করে নিয়ে আসি। কিন্তু সংবাদদাতা বা কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না পাওয়ায় পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য আজ ২৪ মে ১৪৪ ধারায় আদালতে পাঠাই, আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ইনসেপ্টা কোম্পানির কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানির হেপা-বি ইনজেকশন মানুষের জীবন রক্ষা করে, আর এই নকল ইনজেকশন ব্যবহার করলে মানুষ মৃত্যুর দিকেই ধাবিত হবে। বিষয়টি আমি অফিসকে অবগত করেছি। কিন্তু, আমি বাদী হয়ে কোন অভিযোগ করতে পারবো না।
এদিকে, বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় – আটককৃত শাহীন আলমের বাড়ি ময়মনসিংহ, তার স্ত্রী কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ম্যাটস্ বিভাগে ইন্টার্নশিপ করছেন। তারই সুত্র ধরে হাসপাতালের কিছু চিকিৎসক সহ অনেকের সহযোগিতায় প্রতারক শাহীন আলম দীর্ঘ দিন যাবৎ কিশোরগঞ্জে এই নকল ইনজেকশন সহ বিভিন্ন নকল ঔষধের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে উঠে আসে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মামুনুর রশীদের নাম।
হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মামুনুর রশীদ হাসপাতালে আসার পর থেকেই নকল ঔষধের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, কিন্তু আমরা বুঝতে পারতাম না কারা এসব করছে। গতকাল যখন নকল ঔষধ সহ প্রতারক আটক হয়, তখন তিনি সরাসরি স্পটে চলে যান সবাইকে ম্যানেজ করে প্রতারককে বাঁচাতে।
এব্যাপারে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মামুনুর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কতিপয় কিছু ব্যাক্তি অন্যায় আবদার, সুপারিশ নিয়ে আমার কাছে এসে কোন সুবিধা পায়নি তারা বিপক্ষে বলবে এটাই স্বাভাবিক। হাসপাতালে ম্যাটস্ বিভাগে ইন্টার্নশিপ করছে রোশনি নামের একজন আমাকে বলছে তার স্বামীকে কে বা কারা আটকিয়ে রেখেছে, শুনে আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখি এ অবস্থা, আমি সাথে সাথেই চলে আসি। আমি চাই আইনা অনুযায়ী এর বিচার/শাস্তি হোক।
আটক হওয়া নকল ঔষধের ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মেহেদী হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, নকল ঔষধ/ভেজাল ঔষধ এগুলো নতুন বিষয় না। নকল ঔষধের মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারক ও অসাধু কিছু ব্যবসায়ি। আর আমরা তাদের ধরতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট, সচেতনতামূলক অভিযান, সেমিনার ও ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছি, অনেককেই জেল জরিমানা সহ আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করছি। এরপরও বন্ধ হচ্ছে না মানুষের জীবন নিয়ে তাদের ব্যবসা করা।
এই গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির সঙ্গে কোন চক্র রয়েছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।