Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার ঘোষণা – Pratidin Sangbad

স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার ঘোষণা

আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার রাতে সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন তিনি।

র আগে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৬ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তবে এখনই প্রাক-প্রাথমিক খুলছে না। এ বিষয়ে পরে জানিয়ে দেয়া হবে। তবে পঞ্চম শ্রেণি, ১০ম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হবে। অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ইতোমধ্যে স্কুল-কলেজ ভবন উপযোগী করা হয়েছে। আমরা হইতো এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষকদের টিকা নেয়ার বিষয়টিও সমাপ্ত করতে পারবো। এছাড়াও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেরামতের কাজ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিডাব্লিউডি। যদি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেরামতের প্রয়োজন হয় সেটিও করা হবে।

‘স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, নোটিশগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে কি না- এসব বিষয় এসব স্বাস্থ্যকর্মী ও মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন তারা দেখবেন। এ বিষয়ে তারা নিয়মিত প্রতিবেদন দেবেন।’

‘এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসির জন্য ৮০ কর্মদিবসের ক্লাস করানো হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এজন্য হইতো তাদের (এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী) সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস করতে হবে। তবে শুরুতে হইতো সপ্তাহে তারা একদিন আসবে।’

এছাড়া এসএসসি পরীক্ষা জুলাইয়ে পিছিয়ে যেতে পারে বলে এ সময় ইঙ্গিত দেন শিক্ষামন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যেভাবে মানুষ টিকা নিচ্ছেন উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, যেখানে ১৩০টি দেশের মানুষ এখনো টিকা পায়নি সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে আমরা টিকা পেয়েছি। যেভাবে মানুষ কোভিড-১৯ টিকা নিচ্ছেন আশা করছি খুব দ্রুতই করোনা চলে যাবে। টিকার সংখ্যা বাড়তে থাকলে আমরা পুরোপুরি স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রমে চলে যাব।

শিক্ষকদের টিকা গ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিকের দেড় লাখ শিক্ষক টিকা নিয়ে নিয়েছেন। বাকি শিক্ষকও টিকা নেবেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শিক্ষকদের রেজিস্ট্রেশন ও টিকা নেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধি ও মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে৷ এ বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি সবাইকে চিঠিও দেয়া হয়েছে।

রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ ঘোষণা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রোজায় ছুটি পুরোপুরি থাকবে না। ছেলে-মেয়েরা বাড়িতে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে। আমার মনে হয় না রোজার সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে কোন সমস্যা হবে। শুধুমাত্র ঈদের সময় কয়েকদিন ছুটি থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী থাকেন। তাদের টিকা দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আমাদের ইতোমধ্যে কথা হয়েছে। আমরা সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে বুধবার ইউজিসির মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি৷ নাম ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তথ্য দেয়ার পর তাদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থী সুবিধামত কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন।

এছাড়াও ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডা. দীপু মনি বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হবে। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হবে।

বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।