মোঃ ফরহাদ হোসেন-
রবিবার ২৫শে জুলাই সকাল ১০টায় চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়নে মুরাদপুর বাজারে দোকানে বাকী না দেওয়ার কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দা, কুরাল, লাঠি, ফালা, সুরকী সহ দিয়ে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগে ওঠেছে একই গ্রামের বেপারি গ্রুপের মোঃ জাহেদুল ইসলাম(৩০), হুমায়ন(৪০), মোকলেস(৫০), শহিদুল(৪০)সহ তাদের সহযোগীরা।
সরোজমিনে জানা যায়, চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়নের দূর্গম মুরাদপুর চরে দোকানের পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘষের্র ঘটনায় মুন্সি গ্রুপের ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েকদিন আগে দোকানের বাকি নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ২৫ জুলাই সকালে মুন্সী গ্রুপের লোকজন মুরাদপুর বাজারে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওত পেতে থাকা বেপারি গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মুন্সি গ্রুপের লোকজনদের মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
আহতরা জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোখলেছের হুকুমে আমাদের উপর এই হামলার করে। এ হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মুন্সি গ্রুপের ৭জন। এরা হলেন, আঃ রহমান মুন্সী(৬০) পিতা- আনছের মুন্সি, রাজু মিয়া(৩৩) পিতা- আঃ রহমান মুন্সি, আঃ মজিদ(৫৫) পিতা-মুক্তান মুন্সি, সাদ্দাম হোসেন(৩২) পিতা- আঃ মজিদ মুন্সি,আঃ হক(৪৫) পিতা মকতেল আলী মুন্সি, হজরত আলী(৩৬)পিতা আঃ রহমান মুন্সি। সর্ব সাং- মুরাদপুর, ঘোরজান চৌহালী সিরাজগঞ্জ। আহতের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চৌহালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তারগণ আহতদের চিকিৎসা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চৌহালী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন- খবর শুনে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।