Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জে নেশার টাকা না পেয়ে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করলো পুত্র – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জে নেশার টাকা না পেয়ে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করলো পুত্র

 

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নেশার টাকা না পেয়ে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করল পুত্র।
স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শনিবার সাড়ে ৮টার দিকে ছেলে হৃদয় মিয়াকে আটক করা হয়। মামলা হওয়ার পর দুপুরে তাকে জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দড়ি চরিয়াকোনা এলাকায় বাবা নিদান মিয়াকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন হৃদয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিদান মিয়ার ছোট ভাই রতন মিয়া জানান, তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে হৃদয় সবার বড়। আগে তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। পরে একটি ইটভাটায় কাজ করলেও বর্তমানে তিনি বেকার।
তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে নিয়মিত মাদক সেবন করতেন হৃদয়। মাদকের টাকার জন্য নিয়মিত মা-বাবাকে চাপ দিতেন। টাকা না দিলে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করতেন। বর্তমানে হৃদয়ের মা-বাবা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অন্য একটি বাড়িতে বসবাস করছেন। হৃদয় সেখানে গিয়েও টাকার জন্য চাপ দিতেন।

রতন মিয়া জানান, মাকে মারধরের কথা শুনে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় প্রতিশ্রুতি কিন্ডারগার্টেনের পাশের একটি জমিতে বাবাকে কুপিয়ে পালিয়ে যান হৃদয়। তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় নিদান মিয়ার।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে সকালে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হৃদয়কে আটক করা হয়। সকাল ১০টার দিকে রতন মিয়া কটিয়াদী মডেল থানায় হত্যা মামলা করলে হৃদয়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।