Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
হাসপাতাল থেকে সরকারী ঔষধ পাচারের সময় এক নারী আটক – Pratidin Sangbad

হাসপাতাল থেকে সরকারী ঔষধ পাচারের সময় এক নারী আটক

আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে বিপুল পরিমাণ  সরকারি ঔষধ পাচারের সময় এক নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ ঘটনায় হাসপাতাল এলাকায়  ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আজ (১৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহেদা (৩৫) নামের ঐ নারী একটি ট্রাভেল ব্যাগ ভর্তি করে পেলটকস-২ ও পেনটিড মেগাপিল এর ৩শ ৭০টি ইনজেকশন নিয়ে হাসপাতাল থেকে যাচ্ছিল । তার আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তার ব্যাগ চ্যালেঞ্জ করে এবং খুলে ইনজেকশন দেখতে পায়। এসব ঔষধ স্থানীয় রোগীদের মাঝে চিকিৎসাসেবায় বিতরণ করার কথা।
 স্থানীয় জনতা ঐ নারীকে তাৎক্ষণিক আটক করে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের ভিতর পুলিশ বক্সে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে  কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকার ও সদর থানার এসআই মিন্টু পুলিশ বক্সে আসেন।
পুলিশ বক্সের সামনে তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক নারী শাহেদা জানান, “আমি হাসপাতালে এসেছি। হাসপাতালের একজন আয়া আমাকে এ ব্যাগটি দিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে বলে। আমি ব্যাগটি নিয়ে হাসপাতালের বাইরে আসলে লোকজন আমাকে আটক করে। “এসময় তার নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান ঐ নারী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আটক শাহেদা সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামের ফজল উদ্দিনের স্ত্রী। জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার মমিনুল ইসলামের সাথে সাংবাদিকরা  যোগাযোগ করলে তিনি জানান,”আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারবো না। এ বিষয়ে তত্বাবধায়ক স্যারের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।”
এব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: শহিদুল্লাহ্ লিংকন জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকারকে বাদী করে ঐ নারীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি । তাৎক্ষণিক কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো কিছু বলতে রাজি হননি। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল কেন্দ্রিক একটি ওষুধ পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। এ চক্রের সাথে হাসপাতালের দায়িত্বরত কেউ কেউ জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, আটককৃত নারীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।