আজ ১১ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বন্যপ্রাণী টিয়াপাখি পালা নিষেধ ও অপরাধ

মাহবুব আলম রানা, শরীরে অপূর্ব সুন্দর সবুজ রঙ। এমন রঙের সাথে মিল রেখে পাখি বিজ্ঞানীরা এর নামকরণ করেছেন সবুজ টিয়া। এরা বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। এরা সবুজ বনভূমি, পাতাঝরা বন, আবাদি জমি, বাগান ও লোকালয়ে বিচরণ করে। সচারাচর ছোট ছোট দলে ঘুরে বেড়ায়। ফুল ও ফলদ গাছের ঘেরা বাগান ও শস্যক্ষেতে এসে খাবার খায়। দেশে প্রায় ৭ রকমের টিয়া রয়েছে। এর মাঝে ‘সবুজ টিয়া’ একটি বিশেষ প্রজাতি। কলাপাতা ও সবুজ রঙের দীর্ঘ সুদর্শন পাখি। আকারে অনেকটা কাকের সমান। এর আরেকটি নাম ‘টিয়া-তোতা’। এরা সারা দেশেই আছে, সহজে দেখা মেলে।কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে বেশ কিছু জায়গায় এর সংখ্যা কমে আসছে। টিয়ারা সহজেই পোষ মানে এবং কিছুটা মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। আর এটিই বিভিন্ন প্রজাতির টিয়াদের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়েছে। এর জন্যই বর্তমানে প্রচুর পরিমানে টিয়া অবৈধভাবে ধরা ও বিক্রি করা হয়। বন্যপ্রাণী নিরাপত্তা ও সংরক্ষণ আইনে এমন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে অবৈধ এবং দন্ডবিধিযুক্ত অপরাধ। অবৈধভাবে বন বা পাহাড়ি এলাকা থেকে সবুজ টিয়াসহ অন্য প্রজাতির টিয়া শিকার এবং তারা যেসব গাছে বসবাস করে সেগাছগুলো কেটে ফেলার ফলে জীবন বর্তমানে অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৮(২) ধারা অনুযায়ী কেউ অভিযুক্ত হলে সর্বোচ্চ ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ