কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নে রাতের আধারে ফিসারি থেকে দুই লক্ষ টাকার মাছ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (০৭ আগস্ট) ৪ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের বগাডুবি গ্রামের মোঃ সাহাবুদ্দিনের পুত্র আলমগীর হোসেন (৩২) ও আসাদ মিয়া (৩৫), মোঃ রেণু মিয়ার পুত্র মোঃ মুখলেছ মিয়া (৩০), মৃত ফজর আলীর পুত্র সাহাবুদ্দিন (৬০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশরাফ উদ্দিন ও মোঃ আসাদুজ্জামান সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের বগাডুবি গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গা ৫ বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলো। অভিযুক্তরা যোগসাজশে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে রাতের আধারে ফিসারি থেকে মাছ চুরি করে। বিষয়টি জানতে পেরে রাতের বেলায় মাছ মারার কারণ জিজ্ঞেস করলে অভিযুক্তরা ক্ষীপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে এবং কিভাবে ব্যবসা করি তা দেখে নিবে। পরে বুধবার রাতে আমাদের ফিসারির পাহারাদার জুনায়েদ পানির শব্দ শুনে টর্চ লাইট হাতে নিয়ে ফিসারির পাড়ে গেলে টর্চের আলোতে অভিযুক্তদের চিনতে পেরে বড় জাল দিয়ে মাছ মারার কারণ জিজ্ঞেস করলে তাকে মারপিট করে আহত করে এবং গলায় চাপ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।বিষয়টি জুনায়েদ আমাদের জানালে দ্রুত ফিসারি যাই এবং জানতে পারি আমাদের আসার আগেই জাল দিয়ে দুই লক্ষ টাকার মাছ ধরে অভিযুক্তরা টমটম গাড়ি দিয়ে নিয়ে যায়।
পাহারাদার জুনায়েদ বলেন, বড় জাল দিয়ে মাছ মারার কারণ জিজ্ঞেস করলে মারপিট করে আহত করে এবং গলাটিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে এখান থেকে চলে না গেলে আমাকে রামদা দিয়ে খুন করে টুকরো টুকরো করে পানিতে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে অভিযুক্ত আলমগীর ও আসাদের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নং 01762049909 এ বার বার ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
চৌদ্দশত ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাবুদ্দিনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ফিসারি মালিকরা আমার কাছে মাছ চুরির বিষয়টি বলেছে। আমি তাদের কাছ থেকে শুনেছি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।