আজ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিকলীতে দরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে হতদরিদ্র কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগ ইতোমধ্যেই প্রসংশা কুঁড়িয়েছে সর্বক্ষেত্রে। স্থানীয়রা বলছেন, ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে, সংগঠনটির প্রতিও নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়বে। অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, অতীতের প্রতিটি দূর্যোগের ন্যায় এবারও পুরো বৈশাখেই কৃষকের পাশে থাকবে জেলার প্রতিটি ইউনিট।

যে কৃষকের জমির ধান পেঁকেছে কিন্তু শ্রমিকের টাকা যোগাড়ের জন্য সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারছেনা তাদের খোঁজ নিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করছে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।

জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, গেল বছরের তুলনায় এ বছরও কিশোরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে শ্রমিক ও আর্থিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এমতাবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জ জেলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আজ সোমবার (১ মে) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খানের নেতৃত্বে জেলার নিকলী উপজেলার কারপাশা দরিদ্র কৃষক আল আমিন মিয়াসহ কয়েকজন কৃষককের ৫ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহবানে সাড়া দিয়ে কৃষকের সোনালী ফসল ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। গত বছরের ন্যায় এবারও এ ধারা অব্যহত রাখবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। তারা জানান, যে সকল দরিদ্র কৃষক ভাইয়েরা শ্রমিকের মজুরির অভাবে জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেনা তাদের খোঁজ নিয়ে জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি। এছাড়াও আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এলাকার দরিদ্র কৃষক ভাইদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আমরা শ্রমিক সংকটে পড়া অসহায় কৃষক ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছি। পুরো ধান কাটার মৌসুমে কৃষকদের পাশে থাকবো এবং যেখানেই শুনবো কৃষকেরা শ্রমিক সংকটে ধান কাটাতে পারছেনা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত রয়েছি।

এ বিষয়ে কারপাশা এলাকার কৃষক আল আমিন মিয়া বলেন, আমরা দরিদ্র কৃষক। মানুষের জমি চাষ বাস করে ধান উৎপাদন করে খাই। এবার ধান উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি। এই সময়ে ধান কাটার শ্রমিক সংকট ও দাম অনেক বেশি। আমাদের ৫ বিঘা জমির ধান কাটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। এমন সময় ছাত্রলীগের ভাইয়েরা আমাদের ধান কেটে মাড়াই করে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আমাদের অনেক বড় উপকার করেছে। আমরা ছাত্রলীগ ভাইদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

কারপাশা ইউনিয়নের গৌরিপুর মো. আবদুর রাশিদ জানান, আমরা হাওরের মানুষ সবসময়ই দুশ্চিন্তাই তাকি কোন সময় উজানের ঢল এসে আমাদের একমাত্র ফসল নিয়ে যায়। এখন শ্রমিকের সংকট এখন সবাই ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত। সে সময়ে ছাত্রলীগ আমাদের ধান কেটে পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকেও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ