Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে জামায়াত  – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে জামায়াত 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কিশোরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির পাহারা দিচ্ছে জমায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা।
জেলা শহরের মন্দিরগুলোতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত পাহারায় ছিলেন তারা। এশা ও ফজরের সময় মন্দিরের পাশে খোলা জায়গায় জামাতও আদায় করেন কর্মীরা। এতে স্বস্তি বোধ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শহরের সব মন্দির পরিদর্শন করেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো: রমজান আলী। তার সাথে ছিলেন জেলার সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সাবেক অর্থ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, শহর জামায়াতের আমির আনোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি আবু নাঈম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক জেলা সভাপতি আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির জেলা উত্তর শাখার সভাপতি শাহরিয়ার মাহমুদ শাকিল, সেক্রাটারি মোজাহিদ বিল্লাহ, অফিস সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ,অর্থ সম্পাদক ঈসা মিয়া প্রমুখ।
এসময় জামায়াতে ইসলামী‌ ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ মন্দিরের পুরোহিতদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, তাদের উপরে কেউ হামলা করতে পারবে না। জামায়াতে ইসলামী তাদের পাশে রয়েছে।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পরে সারাদেশে মন্দির বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা হতে পারে বিষয়টি সামনে আসে। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সোমবার রাতে জেলার সব মন্দিরে পাহারা দেয় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। আজ (মঙ্গলবার) রাতেও তারা মন্দিরগুলোতে পাহারায় থাকবেন।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক রমজান আলী বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) থেকে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছি তাদের আশপাশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। তাদেরকে মনে সাহস দেয়ার জন্যও বলেছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশে জামায়াতে ইসলামী রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী মনে করে সংখ্যালঘু বলে দেশে কিছুই নেই, সবাই দেশের নাগরিক। আজকে শহরের সকল মন্দির পরিদর্শন করেছি। তাদেরকে এই আশ্বাস দিচ্ছি যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশে আমরা রয়েছি। হিন্দু মুসলিম আমরা সবাই ভাই ভাই, এ দেশেরই নাগরিক ।