কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সমাজসেবক ও ক্রীড়া সংগঠক জালাল উদ্দীন আহমেদ (৮২) এর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার যোহর নামাজের পর ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পাগলা মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ আলীর পরিচালনায় জানাযার নামাজে সর্বস্তরের বিপুল পরিমাণ মুসুল্লী অংশগ্রহণ করেন। পরে পাগলা মসজিদের গোরস্তানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, কিশোরগঞ্জ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ ও পুরাতন কাচারি জামে মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন আহমেদ গতকাল রবিবার বিকালে ঢাকার ল্যাব এইড ক্যান্সার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারসহ বার্ধক্যজনিত নান রোগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জেলা শহরের আলোর মেলা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা জালাল উদ্দীন আহমেদ মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন কন্যা, দুই পুত্র, নাতি-নাতনি ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহি রেখে গেছেন।
মরহুম জালাল উদ্দীন আহমেদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরীফুল আলম। এক বিবৃতিতে তিনি মরহুমের বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
আজ জানাযার নামাজ শুরু পূর্বে মরহুমের সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণ ও মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ হাবীবুর রহমান ভুইয়াঁ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম. এ. গণি, কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শাব্বির আহমেদ রশীদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু ও রুহুল হোসাইন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া ও আমিনুল ইসলাম আশফাক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন এবং মরহুমের পুত্র মাসুদ সালাউদ্দিন সাগর।