Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
কিশোরগঞ্জের পুলিশের মানবিকতায় আশ্রয় পেল তরুণী – Pratidin Sangbad

কিশোরগঞ্জের পুলিশের মানবিকতায় আশ্রয় পেল তরুণী

টাঙ্গাইল জেলা সদরে গৃহকর্মীর কাজ করে কিশোরগঞ্জের দুর্গম হাওরের ইটনা উপজেলার বাসিন্দা এক তরুণী (২০)। কর্মস্থল টাঙ্গাইল থেকে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ইটনার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে।

বাসের বিলম্বে কিশোরগঞ্জের গাইটাল বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছতেই রাত পৌনে ১০টা বেজে যায় তার। জেলা সদর থেকে তখনো তার গন্তব্যের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের মতো যা সড়কপথ ও নৌপথে পাড়ি দিতে হয়।

কিন্তু কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে হাওরের গেইটওয়ে চামড়াবন্দর পর্যন্ত কোন না কোন যানবাহনে যেতে পারলেও সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছাতে রাতে কোন নৌযান মিলেনা। ফলে চাইলেই রাতে আর বাড়িতে পৌঁছা সম্ভব হবে না তার।
এদিকে জেলা শহর কিংবা আশপাশেও কোন আত্মীয়স্বজন নেই যে সে কোথাও আশ্রয় নিবে। ফলে নিরাপদে রাত কাটানো নিয়ে শঙ্কায় পড়ে তরুণী।

এ রকম পরিস্থিতিতে বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি অটোরিকশায় ওঠে জেলা শহরের প্রধান সড়ক অতিক্রম করার সময় তার চোখে পড়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার সাইনবোর্ড। থানার সাইনবোর্ড দেখে সেখানেই নেমে পড়ে তরুণী। সোজা গিয়ে হাজির হয় থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে।
তরুণী থানার ডিউটি অফিসারকে সবিস্তারে সবকিছু খুলে বলে জানায়, তার বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে যে থানায় গিয়ে যদি সে আশ্রয় নেয় তাহলে নিরাপদে রাতটা কাটাতে পারবে। তাই সে আশ্রয়ের জন্য থানায় এসেছে।
তরুণীর এমন কথাবার্তায় অবাক হয়ে যান ডিউটি অফিসার। বিষয়টি কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মাদ দাউদকে জানালে তিনি তরুণীকে থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে আশ্রয় দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

সেখানে তরুণীকে আশ্রয় দেওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে তার জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে নিরাপদে রাত্রিযাপন শেষে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সেখানেই নাস্তা সারেন তরুণী।
এর মাঝে যোগাযোগ করা হয় তরুণীর পরিবারের সঙ্গে। সকালে থানায় হাজির হন তরুণীর পিতা।
থানায় নিরাপদ আশ্রয় ও আতিথেয়তা পেয়ে আপ্লুত হয় তরুণী। তরুণীর আস্থার প্রতিদান দিতে পেরে পুলিশও খুশি।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার গোলঘরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি জানান ওসি মোহাম্মাদ দাউদ। এ সময় আশ্রয়ে থাকা তরুণী ছাড়াও কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার-ফোর্স উপস্থিত ছিল।

ওসি মোহাম্মাদ দাউদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক চালু করেন এবং মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে।

মাননীয় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি ও কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে সমাজের নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীরা এই সেবার সুফল ভোগ করার মাধ্যমে পুলিশের সেবার উপর আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ পুলিশের মানবিকতায় বেচেঁ গেল তরুণী,
এর ফলশ্রুতিতে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় তরুণীটি সেবা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছে এবং তাকে তার পিতার কাছে নিরাপদে হস্তান্তর করা সম্ভবপর হচ্ছে।