Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the insert-headers-and-footers domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/pratidinsangbad2/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
অনুল্লেখ্য-সুলেখা আক্তার শান্তা – Pratidin Sangbad

অনুল্লেখ্য-সুলেখা আক্তার শান্তা

ডেস্ক
আমিরা হাতের লাঠি মাটিতে ঠুকে বলে, আমি এই গ্রামের মাদবর। সবাই আমারে মান্য করে। এই গ্রামের বিচার সালিশ
আমি করি। আমার উপর দিয়ে কেউ কথা বলুক তা আমি বরদাস্ত করি না। আমিরা হাতের লাঠিটা আবার মাটিতে
ঠুকে রবিউলের দিকে তাকায়।
কি এমন বিচার সালিশ করো তুমি? পারোতো মানুষের মাথা বাড়ি দিয়ে এর ওর থিকে টাকা আদায় করতে।
রবিউল আমার মুখের উপর কথা বলার পরিণতি কি জানিস? দাঁতে দাঁত চেপে বলে আমিরা।
হ্যাঁ জানি। গুন তো তোমার একটাই। মানুষের মধ্যে ফ্যাসাদ তৈরি করা।
আমিরা রেগে বলে, রবিউল কথা বাড়াস না। এর দাঁতভাঙ্গা জবাব পাবি তুই।
নবাবজাদী সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়ায়। স্বামী বলে আমারে এক পয়সারও দাম দেয় না। সারাদিন ক্ষেত খামারে
খাইটা মরি তারপর আইসা বাড়ির কাজও করি। পোলাপানগুলাও হইছে মার মতো। পড়ালেখার ধার ধারে না।
আমিরা পানের বাটা নিয়ে স্বামীর দিকে চোখ গরম করে তাকিয়ে বলে, ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে কি হইব? তার
চেয়ে কাজ কর্ম করলে ঘরে নগদ টাকা আসে। আমি কি কম বুঝি? দেখোনা সবাইরে কেমন জব্দ করে রাখি।
পরের ঘরে আগুন জ্বালাইতে জ্বালাইতে একদিন তোর ঘরে আগুন জ্বলবে।
আমিরা স্বামীকে ধমক দেয়, তুমি থামোতো।
আমার না থাইমা উপায় আছে তোর মত জল্লাদ বউ যার ঘরে আছে।
কি আমি জল্লাদ! আমি মানুষের ঘরে আগুন দেই? আমিরা শুরু করে তোলপাড়। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙ্গা শুরু করে
দেয়। আমিরার স্বামী ইদ্রিস স্ত্রীর এই আচরনের কাছে চিরদিনই অসহায়। পরিশেষে ইদ্রিসকে আপোষ করতে হয় তবেই
ঝড় থামে। ঘরের জিনিস ভেঙ্গে কি করেছ দেখো। আমিরা আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে বলে, ঘরের মানুষ যদি দাম
না দেয় বাইরের মানুষ কি আমারে দাম দিবো?
ইদ্রিস বলে, ছেলে-মেয়ে কোথায় যায় কি করে কিছুই তো জানিন।
তোমার জানতে হবে না এত জাইনা কি করবা? ইদ্রিস কথা বাড়ালো না। জানে বৌয়ের উপর দিয়ে তার কোন কথা
চলে না।

রবিউল ভালোবাসে রিয়াকে। ব্যাপারটা দু’জনে অভিভাবকরা জানে। দু'পক্ষের মতও আছে। সামনে রবিউল আর
আনিকার বিয়ে। অপেক্ষায় আছে। আনিকা স্নাতক পাসের পর বিয়ে হবে। বিয়েতে বড় আয়োজনে অনুষ্ঠান হবে।
রবিউল আনিকা অনাগত স্বপ্নে বিভোর। দু’জন নিরালায় বসে গল্প করে। বিষয়টা আমিরার নজরে আসে। মানুষের সুখ
দেখে সে প্রতিহিংসায় জ্বলে ওঠে। কারো সুখ তার সহ্য হয়না। মনের মধ্যে সেই সুখ ধ্বংস করার পরিকল্পনা তৈরি হয়ে
যায়। বিচিত্র এক মানসিকতা আক্রান্ত সে। রবিউল আর আনিকাকে একান্তে বসে থাকতে দেখে। তৎক্ষণাৎ প্রলয়ংকারী
কান্ড ঘটনোর ছক মাথায় এসে যায়। সামিয়া চিৎকার করে ওঠে। হায় হায় চোখে আমি এ কি দেখলাম। দিনে দুপুরে
এমন নষ্টামি কেউ করে। সুবাহানাল্লাহ সমাজ-জামাত আর থাকলো না। এরা দু’জন গ্রামটাকে নষ্ট করে ফেলল।
কলঙ্ক লেপনের ভয় আতঙ্কিত হয় রবিউল। প্রতিবাদ করে বলে, চাচি কি বলছেন এসব। আপনি এমন কি দেখেছেন যে
চেঁচিয়ে গ্রাম শুদ্ধ মাথায় তুলে ফেলছেন!
এতক্ষণ যে তোরা রং তামাশা করলি! দু’জনে অবৈধ মেলামেশা করলি!

আনিকা বলে, দেখেন সহ্যের একটা সীমা আছে। আপনি মিথ্যা বলে যাবেন আর সেটা সত্যি হয়ে যাবে! এ আপনি
ভাবেন কি করে? অন্যের সন্তানের নামে বদনাম দেওয়ার আগে একবার নিজের সন্তানের কথা ভাবেন।
আমার সন্তান এরকম অসভ্য সন্তান না। আমি নির্লজ্জ সন্তান পেটে ধরিনি। আমার সন্তান মান-সম্মান বজায় রেখে
চলে।
রবিউল বলে, জানা আছে। আপনি যেমন আপনার সন্তানও তেমন। সন্তান হয়েছে মায়ের মত। দানব মানবিক কোন
গুণ নেই।
নিজের সন্তান নিয়ে কথা শুনে জেদ আরো বেড়ে যায়। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলে, তোদের এই নষ্টামির কীর্তি আমি মানুষের দ্বারে
দ্বারে গিয়ে বলব। আমিরা প্রত্যেকের কাছে রবিউল আর আনিকার নামে মিথ্যা রটনা রটায়। রসালো গল্পে মানুষের
উৎসাহের সীমা নাই। আমিরার উদ্দেশ্য সার্থক। তাতেও তার পরান জুরায় না। অশান্তির আগুনে আরো বাতাস দিতে
চায়। রবিউলের বাবা-মার কাছে গিয়ে বলে, কেমন ছেলেকে পেট ধরেছো! ছেলে রাস্তাঘাটে নষ্টামি করে বেড়ায়।
রবিউলের বাবা আতিকুল রহমান উত্তেজিত হয়ে বলে, ছেলে আমার সম্মান নিয়ে টান দিলো! আমিরা দেখে তার কথায়
কাজ হচ্ছে। দেখেন আপনার ছেলের কীর্তিকলাপ গ্রামটাকে নষ্ট করে ফেলছে। এদের দেখাদেখি অন্য ছেলে মেয়েরাও এই
পথে পাদিবে। তার আগে এর একটা বিহিত করার দরকার। এদের কারণে সমাজ টাকে তো আমরা নষ্ট হতে দিতে
পারিনা।
যে মেয়ে বিয়ের আগে রাস্তাঘাটে তামাশা করে বেড়ায় সেই মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের কিছুতেই বিয়ে হবেনা। রবিউল
বাবার মুখে এমন সিদ্ধান্ত শুনে বলে, বাবা যার কথা শুনে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছ সে কেমন মহিলা তাও তুমি ভালো করে
জানো?
আমি বলে দিলাম এ মেয়ের সঙ্গে তোমার বিয়ে হবে না। এটাই আমার শেষ কথা।
আমিরার কানে যায় এসব কথা। সে আরো জোরে সোরে কুৎসা রটাতে থাকে। ছি ছি বিয়ের আগে ছেলে মেয়ের
ফষ্টিনষ্টি। এমন ছেলে মেয়ে আমার হলে পদপিষ্ট করতাম। এমন ছেলে-মেয়ে আমি পেটে ধরিনি। আমার ছেলে-মেয়েরা
হীরার টুকরা। রবিউলের বাবা আতিকুল রহমানের মনে জ্বালা ধরিয়ে আমিরা তৃপ্তি বোধ করে। দিছি আগুন
জ্বালাইয়া। কেউ শান্তিতে থাকলে আমার আবার অশান্তি লাগে। তার মানসিক বিকারগ্রস্থ কুটনামিতে অনেক সংসারে
অহেতুক দ্বন্দ্ব সংঘাত সৃষ্টি হয়। রবিউলের আর আনিকার দুই পক্ষের অভিভাবকরা তাদের দু’জনের দেখা সাক্ষাৎ
নিষেধ করে দেয়।

আমিরার মেয়ে রিয়ার বিয়ের বয়স হয়েছে। কিন্তু কোথাও থেকে কোন বিয়ের সম্বন্ধ আসে না। রিয়া মোটামুটি
সুন্দরী। আমিরা ছেলে-মেয়ের সম্পর্কে যতই বড় গলায় কথা বলুক, সে জানে তার মেয়ে রিয়ার সঙ্গে অনেক ছেলের
সম্পর্ক। মা বেরিয়ে পড়লে রিয়াও বেরিয়ে পড়ে ছেলেবন্ধু নিয়ে।
একদিন আমিরার কাছে রিয়ার জন্য লোভনীয় বিয়ের প্রস্তাব আসে। পাত্র বেশ বয়স্ক। আগে বিয়ে আছে। পায়ে সমস্যা
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে। আমিরার কাছে এটা কোন বিষয় না। সে বুঝে তার যে আচার-আচরণ এতে ভালো কোন বংশ
থেকে ছেলে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব আসবে না। সবচেয়ে বড় কথা পাত্র বিত্তবান। অর্থ-সম্পদ থাকলে মান-সম্মান কেনা
যায় এটাই তার কাছে বাস্তবতা। মেয়ের বিয়ের প্রস্তাবে সে সম্মত হয়।
রিয়ার পাত্র দেখে পছন্দ হয় না। মেয়ের এমন অমতে আমিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মেয়েকে বলে, রাজি না হওয়ার কি
আছে? সুখ-শান্তিতে জীবন কাটাবি। এর চেয়ে আর কি লাগে।
বয়স্ক লোকের সঙ্গে আমার বিয়ে। এটা আমার সুখ? দরকার নেই এমন সুখের।
খুব বড় বড় কথা বলা শিখছিস। সারাদিন ঘুরে বেড়াস টইটই করে। আর এই কথা জেনে তোকে বিয়া করতে
আসবে কে শুনি? ইদ্রিস বউয়ের কথার উপরে কথা বলে না। বউ যা বলে তাই তার মেনে নিতে হয়। পরিবারের
ব্যাপারে সে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তার সারা জীবনে এটাই হয়ে এসেছে।
রিয়ার বিয়ে হয়ে যায় ফরহাদের সঙ্গে। কিছুদিন পরেই অতৃপ্তির বিয়ের পরিণতি দেখা দেয়। রিয়ার ভালো লাগতে
থাকে পলাশকে। রিয়ার জীবন পলাশময় হয়ে ওঠে। একদিন পলাশের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় রিয়া। ফরহাদ
দুঃসংবাদটি শশুরবাড়ি জানাতে আসে।

আমিরা কপাল কুঁচকে বলে, ও আমার বাড়ি এসেছো মেয়ের নামে বদনাম করে আমার ইজ্জত শেষ করতে? তোমার
কথা আমি বিশ্বাস করিনা। কি করছো আমার মেয়েকে। আমার মেয়েকে এনে দাও তাড়াতাড়ি।
ফরহাদ আতঙ্কিত হয়। আপনার মেয়ের কীর্তিকলাপে সমাজে আমার মুখ দেখানো দায় আর আপনি আমাকে দোষারোপ
করছেন? আমিরা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চায় রিয়ার পালায়ন পর্বটা কাজে লাগিয়ে। আমিরা মেয়ের নিরুদ্দেশের
জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে ফরহাদের কাছে। আমি তোমার নামে মেয়ের জন্য মামলা দেবো কি করবে এবার
তুমি ভেবে দেখো। মামলার ভয়ে ফরহাদ শাশুড়িকে টাকা দিতে বাধ্য হয়। টাকা পেয়ে আমিরা প্রফুল্ল চিত্ত ভাবে, টাকা
পেয়েছি, মেয়েকেও পাব, মেয়ে তো মরে যায়নি। পালিয়ে বড় আয়ের পথ করে দিয়েছে। টাকা দিয়ে সুখ শান্তিতে
কাটানো যাবে জীবন। সচ্ছলতা বাড়ায় তার কুট বুদ্ধির তীব্রতা বেড়ে যায়। আমিরার আমিরী স্বভাব আরো বিকশিত
হয়। গ্রামের লোকজনের সাথে দাপট দেখায়। সুযোগ পেলেই নাকানি-চুবানি খাওয়াতে শুরু করে।
বিয়ার সন্ধান পায় আমিরা। মেয়েকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বলে, ঐ ছেলের সঙ্গে তোর বিয়ে দেবো। মেয়েকে বলে আমি
যেভাবে বলবো সেভাবেই কাজ করবি। না হয় ছেলের বাবা-মা তোকে মেনে নিবে না। রিয়া মায়ের কথা মতই কাজ
করে। পলাশ নামে মামলা দেয়। তার মেয়েকে আটকিয়ে রেখেছে তিন মাস। বিয়ে করবে, করবে বলে বিয়ে করে না।
এখন যোগাযোগ ও করে না। আইন-আদালতের প্যাঁচে পড়ে পলাশের প্রাণ ওষ্ঠাগত। রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ।
পলাশ আমিরাকে বলে, কাজির মারফতে রিয়ার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। আইনগতভাবে রিয়া আমার স্ত্রী। আপনি
কেন ওকে দিয়ে মামলা মোকদ্দমা করাচ্ছেন?
আমি এ বিয়ে মানি না।
লোকের সর্বনাশ করা আপনার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি কি চান?
আমিরা আমি চাই টাকা। টাকা দাও মুক্তি পাওয়া। রিয়ারও মায়ের কথায় একমত। তাদের টাকার দরকার। টাকার
বিনিময় মামলা নিষ্পত্তি করে। পলাশ টাকার বিনিময় মামলা থেকে রক্ষা পায়।
আমিরা ছেলে জলিলকেও তার উন্মত্ততায় নিয়োজিত করে। ছেলেকে বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে করিয়ে টাকা আনে।
ছেলেকে বিয়ে করিয়ে কখনো তিন মাস কখনো ছয় মাস সংসার করায়। তারপর বউয়ের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী
টাকা নেওয়া হলে তাকে আর সংসারের রাখেনা।

রিয়ার চোখ পড়ে রবিউলের ওপর। তাকে বিয়ে করতে চায়। কথাটা তার মাকে জানায়।
আমিরা বলে, এটা কোন ব্যাপার না। তুই রবিউলকে বিয়ে করতে চাস। রবিউলের সঙ্গেই তোর বিয়ে হবে। জানিস তো
আমার দ্বারা কোন কাজ অসম্ভব না! রিয়া মায়ের আশ্বাসে রবিউলকে ভালোবাসার কথা জানাতে ভরসা পায়। রবিউল
আমি তোমাকে ভালবাসি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।
রবিউলের উত্তর, তোমার মনে আবার ভালবাসার? মানুষকে ফাঁদে ফেলে যারা টাকা আত্মসাৎ করে তাদের মুখে
ভালোবাসার কথা মানায়।
তুমি আমাকে এ কথা বলোনা। আমার মায়ের ক্ষমতা সম্পর্কে জানো না তুমি।
হ্যাঁ তোমার মা তো পারে শুধু মানুষের নামে কুৎসা রটাতে আর মামলা দিতে। যেমন নষ্টা মানসিকতার মা তেমন নষ্ট
মানসিকতা মেয়ে।


সত্যিই আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আমার দরকার নাই তোমার ভালোবাসার। তুমি দূর হয়ে যাও আমার চোখের সামনে থেকে।
তোমার ভালোবাসা না পেলে আমি তোমাকেও শান্তিতে থাকতে দিবো না। এতক্ষণে রিয়া আসল রূপে প্রকাশিত হয়।
কোন হুমকিতে ভয় পাওয়ার মতো পুরুষ আমি না। বারবার একই কৌশল খাটাতে এসো না।
রিয়া এসব কথা মাকে গিয়ে বলে, মা আমি আমার ভালোবাসার কথা বলেছি, রবিউল আমাকে ভালো তো বাসে না
উপরন্ত তোমাকে আর আমাকে নিয়ে অনেক বাজে কথা বলেছে।
মাথা গরম করিস না। যে কোন কৌশলে আগে ওর সঙ্গে তোর বিয়ে দেই। ওর বড় বড় কথা ছুটাচ্ছি। আমাদের নিয়ে
বাজে কথা! এরপর বুঝাবো মজা। পানের খিলি টিপে মুখে ঢুকিয়ে বলে, আজই আমি ওর বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব

নিয়ে যাব। আমিরা ভালো মানুষের মতো মিষ্টি, পান, ফল নিয়ে হাজির হয় আতিকুল রহমানের বাড়ি। আতিকুল
অবাক হয়ে বলে, আপনি আমার বাড়ি?
আসছি আপনার সঙ্গে আত্মীয় করতে। আমার মেয়ে রিয়ার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি আপনার ছেলে রবিউলের
সঙ্গে।
আমার ছেলের বদনাম আছে।
সেদিন আমি যা করেছি তা রাগের মাথায় করেছি। আপনার ছেলের নামে বদনাম দিয়েছি।
সত্যি চিরদিন সত্যিই আর মিথ্যা মিথ্যাই। দেখেছেন সত্য কিভাবে জেগে ওঠে তাও আপনারই কাছ থেকে। আপনার
মেয়ের সঙ্গে কখনই বিয়ে হবে না আমার ছেলের। যেপথে এসেছেন সে পথেই বাড়ি চলে যান।
আমিরা এবার স্বরূপ ধারণ করে। চেঁচিয়ে বলে, আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার যন্ত্রণা আপনাকে ভোগ করতে হবে। শিব
প্রচলিত অস্ত্র নতুন করে প্রয়োগ করে। আমিরা ধর্ষণের মামলা দেয় রবিউল আর তার বাবা আতিকুল রহমানের নামে।
মেয়েকে ধর্ষণ করেছে রবিউল ও তার বাবা। গ্রামের সাড়া পড়ে যায়। রবিউল আর তার বাবা আতিকুল রহমান
প্রতিবাদ করে। মামলার তদন্তে পুলিশ গ্রামে আসে। গ্রামের লোকজন পুলিশের কাছে সাক্ষী দেয়। রবিউল ও আতিকুল
রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া মা-মেয়ের ব্যবসা। মিথ্যা মামলা
দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা এদের কাজ। পুলিশ তদন্ত করে আমিরার বিরুদ্ধে সত্য প্রমাণ পায়। পুলিশ আমিরা আর মেয়ে
রিয়াকে ধরে নিয়ে যায়।
লোকজন গ্রাম থেকে আমিরাদের বাড়িঘর উচ্ছেদ করে। আমিরারা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। গ্রামের লোকজন
এরপর শান্তিতে বসবাস করে।