দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষে উন্মোচিত হল যোগাযোগের নতুন দিগন্ত। জয় হল বাঙালির স্বপ্ন ও সাহস। খুলে গেল শত সহস্র স্বপ্নের দুয়ার। পদ্মা সেতু বাঙালির গর্ব, অহংকার, সক্ষমতা আর মর্যদার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন জয়ের গল্পের নাম পদ্মা সেতু। শনির দশা, পদ্মাকে রুখে দেয়ার ষড়যন্ত্র কাটিয়ে স্বপ্ন নিল বাস্তবে রুপ এবং পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপনে স্বর্গীয় আনন্দে মাতোয়ারা কিশোরগঞ্জবাসী। এ যেন আকাশ থেকে নেমে আসা স্বর্গীয় আনন্দ। শনিবার (২৫ জুন) সকাল থেকেই আনন্দের ঢেউ শুরু হয় কিশোরগঞ্জে। উৎসব উৎসব আমেজ নিয়ে জেলা পুলিশ একটি বর্ণাঢ্য র্যালি পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে থেকে বের করে। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরাতন স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান রহমান, সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ আফজল, পৌর মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাহাদুর আলী, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, মোস্তফা কামাল, আলী রেজা সুমন, সাজন আহম্মেদ পাপন, এম এ ওবায়েদ, মোহাম্মদ আল-আমিন প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বড় পর্দায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। সন্ধ্যায় উক্ত স্থানে আতশবাজী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।