আজ ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দূর্বৃত্তদের হামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতা আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক :কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দূর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গুরুতর আহত করেছে। দু’জনকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।শুক্রবার ৯ জুন রাত ৮টার দিকে পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের ভূইঁয়া বাজার এলাকায় গোলাপ মিয়ার মুরগীর ফার্মের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত দেলোয়ার হোসেন রফিকুল (৪৫) উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং আহত সুমন সরকার (৪৫) বুরুদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
দেলোয়ার হোসেন রফিকুল হোসেন্দি আতকাপাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।সুমন সরকার বুরুদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মন্টুর ছেলে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ভিপি ফরিদ উদ্দিন বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জে আগমন উপলক্ষে পাটুয়াভাঙ্গার দরগাহ বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের বাসায় প্রস্তুতি সভা ছিল। সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে পাটুয়াভাঙ্গা ভূইয়া বাজারের পরে তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশার পথ রোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদের অনুসারীরা হামলা চালান।জেলা পরিষদের সদস্য ভিপি শফিকের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এখলাস উদ্দিন, বর্তমান ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরমিন মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা পাপ্পু,সানির নেতৃত এ হামলা চালানো হয়। হামলায় হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বুরুদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সরকার গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে তাদেরকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ২২ মে বিকেলে পাকুন্দিয়া পৌর সদর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় এলাকায় উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের ওপর হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। এ সময় আলফাজ নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় জেলা পরিষদের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ভিপি শফিককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে হামলা চালানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন পর পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল।

এ বিষয়ে কথা বলতে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসনা সুমনের সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ