কিশোরগঞ্জের মানুষ আমরা
চাচারে কই জ্যাডা
যেসব ধানে চাউল না থাকে
এইডারে কই চ্যাডা।
সবাই ডাকে টাকি মাছ আর
আমরা ডাকি লাডি
ষাঁড় গরুরে ডেঁহা কই আর
বকরিরে কই ফাঁডি।
মসজিদ রে কই মচিদ এবং
বাতিরে কই বাত্তি
ঢাকনারে কই ঢাহুন আমারা
ছাতারে কই ছাত্তি।
সবাই যারে ঝাড়ু ডাকে
এইডারে কই হাচুন
বাতাস করার হাতপাখারে
আমরা বলি বিচুন।
টিকটিকিরে আড়ল কই আর
কাকেরে কই কাউওয়া
গুতা কিংবা খোঁচাটারে
আমরা বলি ঘাউওয়া।
খাবার দেখে লোভ করে যে
তারে ডাকি চাবড়া
চুরি করার অভ্যাস থাকলে
কই তারে হাত লাবরা।
কুয়াশা রে উঁশ বলি আর
ডাটারে কই ডেঙ্গা
কাঠের কিম্বা বাঁশের তৈরি
লাঠিরে কই টেঙ্গা।
লুঙ্গিরে কই তবন আমরা
শকুনরে কই হহিন
বাচ্চা দেওয়ার আগ পর্যন্ত
গাভীরে কই বহন।
গরু ছাগল হাঁস মুরগির
বিষ্টারে কই লেদা
ছোট বড় সব ধরনের
ছিদ্ররে কই ছেদা।
ফুফুদেরকে ফুজি ডাকি
পাট গাছরে কই নাইল্যা
চিংড়ি মাছরে ইঁচা ডাকি
কালোরে কই কাইল্যা।
কথা শুনে করতে পারো
তোমরা হাসাহাসি
তবুও আমরা এমন করেই
কইতে ভালোবাসি।
বিশিষ্ট কবি- সৈয়দ তানজিন আহমেদ