আজ ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কটিয়াদীতে পরীক্ষায় অনৈতিক সুযোগে আপত্তি করায় শিক্ষককে হত্যার হুমকি

কটিয়াদি প্রতিনিধি: পরীক্ষায় অন্য পরীক্ষার্থীর খাতা দেখে লেখার সুযোগ দিতে হবে। তার সঙ্গে দিতে হবে কথা বলা ও হইচই করার সুযোগ। আর এই অনৈতিক দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় রাহুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী শিক্ষক ও কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ডা. আবদুল মান্নান মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কটিয়াদী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী রাহুল ইসলাম উপজেলার আদামপুর গ্রামের অহিদ মিয়ার ছেলে ও কটিয়াদী সরকারি কলেজের ছাত্র।

জানা যায়, ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৩ এর হিসাববিজ্ঞান ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রাহুল ইসলাম পাশের বেঞ্চের অন্য ছাত্রের খাতা দেখে লেখার সময় দায়িত্বরত কক্ষ প্রত্যবেক্ষকগণ বেশকয়েকবার তাকে সতর্ক করে। কিন্তু সে প্রত্যবেক্ষকগণের কথায় কর্ণপাত না করে পাশের পরীক্ষার্থীর খাতা দেখে লেখছিল। এক পর্যায়ে কক্ষ প্রত্যবেক্ষক তার খাতা জব্দ করে তত্ত¡াবধায়কের হাতে দেয়ার পর সে পরীক্ষা কেন্দ্রে হইচই শুরু করে। এতে অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের লেখায় বিঘœ সৃষ্টি করে এবং দায়িত্বরত প্রত্যবেক্ষকদের সাথে অসদাচারণসহ হত্যার হুমকি দেয়। কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কটিয়াদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কটিয়াদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ঐ পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শেষ করার সুযোগ দেন। পরীক্ষা শেষে ওই পরীক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনে দায়িত্বরত প্রত্যবেক্ষকগণকে ও কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে তার মাকে খবর দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা হয় এবং তাকে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়। কক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সহকারী অধ্যাপক মাসুক ইবনে আজিজ বলেন, দায়িত্ব পালন করতে এসে যদি হত্যার শিকার হওয়ার ভয় থাকে, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকে তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবো।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, সংবাদ পেয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করি। অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীকে দেখে সুস্থ মনে হয় নাই। সে নানা রকম অসদাচরণ করেছে। পরীক্ষা শেষে তার মায়ের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী বিষয়ের পরীক্ষাতেও যদি আজকের মতই আচরণ করে তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ