আজ ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কুড়িগ্রামে কোটা বিরোধীদের সংগে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ,সাংবাদিকসহ আহত ৩৫

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রামে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে। জেলা শহরের শাপলা চত্বর থেকে দাদামোড় পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময়  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু এবং সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতন গুরুতর আহত হয়েছেন।  তাদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলার উলিপুর উপজেলায় কোটা বিরোধীরা বেলা আড়াইটার দিকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে। তবে এখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।   ফুলবাড়ী উপজেলাতেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার সকাল ১১টার পর থেকে জেলা সদরে দেশি অস্ত্র ও লাটিসোঁটা নিয়ে মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। অপরদিকে একই সময়ে শহরের দাদামোড় এলাকায় দেশি অস্ত্র ও লাটিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১২টার পর শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ।  শাপলা চত্বর থেকে দাদামোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে কোটা বিরোধী আন্দোলকারীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হটিয়ে শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতন গুরুতর আহত  হন। তাদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায়  আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আলীকে এয়ার এম্বুলেন্সে ঢাকা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে রবিবার সকালে শহরের পৌর বাজারে টেলিভিশন সাংবাদিক  ফোরামের সামনে থেকে ছাত্রলীগের  নেতাকর্মীরা দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি ইউনুছ আলীকে তুলে নিয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় সময় টিভির ক্যামেরাপারসন জামিল ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি জুয়েল রানা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করে। এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের ক্লাব ত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ