আজ ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কিশোরগঞ্জের মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারকে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারটির আনুষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের আওতাধীন জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের মাধ্যমে মুজিববর্ষ কর্ণার প্রতিস্থাপন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মোঃ আজিজুল হক সুমন। অতিথি ছিলেন মডেল ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী। মহিনন্দ ইতিহগাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আমিনুল হক সাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিনন্দ ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য মোঃ কামাল উদ্দিন,প্রভাষক মোঃ আবুল হাসেম,পাঠাগারের সহ সম্পাদক শিল্পী নিরব রিপন,কোষাধ্যক্ষ মোঃ সুমন মিয়া, ফিরোজ সাই, হাবিবুল্লাহ ও পাঠাগারের স্থানদাতা মোঃ নুরুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ। জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরীয়ান আজিজুল হক বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধানে পরিচালিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপন প্রকল্পের অধীন
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এবং মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারসহ ২০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারকে ৪টি বুকশেল্ফ,বই, ১টি রাউন্ড টেবিল, ২টি চেয়ার, ১টি কার্পেট ও কর্নারের জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মহিনন্দ ইতিহগাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের কার্যক্রম দেখে অভিভূত হয়েছি। ২০২০ সালে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে এ পাঠাগারকে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা পদক দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের অধীনে কিশোরগঞ্জের ২টি সরকারী প্রতিষ্ঠানে ও ২০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের জন্য মুজিববর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণারের গ্যালারি করে দেওয়া হয়। সে তালিকায় এ পাঠাগারটিও ছিলো। আজ নিজে উপস্থিত থেকে পাঠাগারটির মুজিববর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার উদ্বোধন করে আন্দোলিত হয়েছি।’

মহিনন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, এই অজপাড়া গায়ে আমিনুল হক সাদী নীরবে নীভৃতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন তার পাঠাগারটির মাধ্যমে। আজ পাঠাগারটি দেখে ও তার কার্যক্রমে প্রশংসার দাবী রাখে। পাঠাগারটির আরও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
প্রসঙ্গত ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল ‘মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগার’টি প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন কার্যক্রমে জেলায় প্রশংসিত হয়েছে। পাঠাগারের উদ্যোগে বই পাঠ প্রতিযোগিতা, রচনা লিখাসহ বিভিন্ন দিবস পালন করে আসছে। প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়। পাঠকদের জন্য প্রতিদিন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা এবং বিভিন্ন ম্যাগাজিন রাখা
হয়। এ পাঠাগারের উদ্যোগে জেলার শতাধিক পাঠাগারের ইতিহাস নিয়ে কিশোরগঞ্জের গ্রন্থাগার ও মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের ইতিহাস’ একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক সাদী জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারসহ বেসরকারী গ্রন্থাগার উন্নয়নেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতি বছরই তিনি কোনো না কোনো সনদ ও পুরষ্কার অর্জন করে থাকেন।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ