আজ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরী হলো বাঁশের সাঁকো দূর্ভোগ কমলো এলাকাবাসীর

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কয়েক দফা কুড়িগ্রামের রাস্তাঘাটের অবস্হা খুব খারাপ।অনেক রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী। বন্যার পানির তোড়ে চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে পরিণত হয়েছে গভীর খালে। ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও কোন সুরাহা না হওয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ করে গ্রামবাসী।
ফলে উপজেলার রাঙ্গামাটি, কাগজিপাড়া, আগগ্রাম, পাঁচগ্রাম, আলগার চরসহ ফুলবাড়ীর ভুখণ্ডের সাথে যুক্ত, ধরলা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরাঞ্চল হলোখানা গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দার ঝুকিপূর্ণ রাস্তা পারাপার হতে মুক্তি মিললো।
রোববার সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় চল্লিশ-পঞ্চাশ জন যুবক-তরুণকে চলাচলের রাস্তার খালের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরীতে কাজ করছেন। গ্রামের যুবকরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা, বাঁশসহ নানা উপকরণ সংগ্রহ করেছ। এসব দিয়ে সাঁকো তৈরীর কাজে নেমেছেন তারা।
খালের পানিতে নেমে বাঁশের খুঁটি বসানোর কাজে ব্যস্ত থাকা ওই এলাকার কাশেম আলী (৫০) আজিজুল হক (৪০) বাদল মিয়া (৩৫) ও মোস্তফা মিঞা (৩৫) জানান, পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে যাওয়া ধরলা নদীর কারনে তারা জেলা সদরসহ গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য পুর্ব প্রান্তের এই রাস্তাটিই তাদের একমাত্র পথ। এবারের প্রথম দু-দফা বন্যায় রাস্তাটির কিছু অংশ ভাঙ্গলেও মেরামত করে কোন রকমে চলাচল করত এলাকাবাসী। কিন্তু পনের দিন আগের তৃতীয় দফা বন্যায় সম্পুর্ণ রাস্তা ভেঙ্গে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। খাল ভরাটের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করলেও কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন তারা। তবে সাঁকো তৈরীর কাজ চলাকালীন সময়ে ইউপি চেয়ারম্যান এসে তাদেরকে পাঁচশ টাকা বকশিস দিয়েছেন বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গামোড় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু বলেন, নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরীর খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীকে উৎসাহ দিয়েছি। সামনে বরাদ্দ এলে সবার আগে ওই খাল ভরাট করে রাঙ্গামাটি বাসীর চলাচলের সুব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

Comments are closed.

     এই ক্যাটাগরিতে আরো সংবাদ